একটি অকার্যকর কর্মক্ষেত্রের ৭ টি গুরূত্বপূর্ন লক্ষণ ।


কর্মক্ষেত্রের বিরূপ  পরিবেশ থেকে নিজেকে এবং সহকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে নিচের লক্ষণগুলো জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

১. দুর্বল যোগাযোগ এবং স্বচ্ছতার অভাব
কর্তৃপক্ষ প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেন এবং অস্পষ্ট নির্দেশনা দেন। কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অনভিজ্ঞ থাকেন। অফিসে গুজবের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে জানা উচিত ছিল।

২. যোগ্য কর্মীদের চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া
যোগ্য কর্মীরা বারবার চাকরি ছেড়ে চলে গেলে এটি কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি, ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, বা বেতন-সংক্রান্ত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

৩. দোষারোপের সংস্কৃতি এবং পক্ষপাতিত্ব
সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে ভুলের জন্য দোষারোপ করা হয়। কিছু কর্মী সবসময় কঠোর পর্যবেক্ষণের শিকার হন, অন্যদিকে কেউ কেউ যেন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা প্রায়ই ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।

৪. দীর্ঘ সময় কাজ করার চাপ
কর্মীদের দীর্ঘ সময় কাজ করতে বাধ্য করা হয় এবং ব্যক্তিগত সময় বিসর্জন দেওয়াকে ভালো চোখে দেখা হয়। ছুটি বা বিরতি নিলে নেতিবাচক মনোভাবের শিকার হতে হয়।

  1. অকার্যকর বা নিপীড়নমূলক নেতৃত্ব
    মালিক বা ম্যানেজারদের অত্যধিক নজরদারি, অযথা ভীতি প্রদর্শন, এবং সহকর্মীদের কাজের কৃতিত্ব নেওয়ার প্রবণতা থাকে। প্রয়োজনের সময় তাদের পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

  2. অসুস্থ প্রতিযোগিতা
    সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগিতা করার পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উৎসাহিত করা হয়। সাফল্যকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যেন একজনের সাফল্য অন্যের ব্যর্থতার উপর নির্ভর করে।

  3. দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নতির সুযোগের অভাব
    প্রশিক্ষণ বা উন্নয়নের সুযোগ অপ্রতুল। ভালো কাজের স্বীকৃতি না দিয়ে শুধু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ভালো কাজ করলেও কোনো পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি হয় না।

আপনার কর্মক্ষেত্রে যদি এই লক্ষণগুলোর অধিকাংশই বিদ্যমান থাকে, তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং পেশাগত উন্নতির স্বার্থে পরিবর্তনের কথা ভাবার সময় এসেছে।

Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال